ভোল্টেজ এবং কারেন্ট কি ?
ভোল্টেজ কি ?
পরিবাহীর পরমানুগুলোর ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন তাকেবিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে । ভোল্টেজ এর প্রতীক হলো V (ভি) এবং এর একক হলো Volt(ভোল্ট) ।
ভোল্টেজ পরিমাপের যন্ত্রের নাম Volt Meter (ভোল্ট মিটার)।
ভোল্ট মিটার সাধারণত যে দুই পয়েন্টের বিভব পার্থক্য নির্ণয় করতে হবে তার সাথে Parallel বা সমান্তরাল ভাবে কানেক্ট করতে হয় ।
ভোল্টেজ(V) = কারেন্ট(I) × রেজিস্ট্যান্স(R)
কারেন্ট কি ?
অথবা,
একটি পরিবাহী পদার্থের ভিতর দিয়ে চার্জ এর গতিকে কারেন্ট বলা হয় ।
কারেন্টের প্রতীক হলো = “ I ” .
কারেন্টের একক হলো = Ampere (A) .
পরিমাপের যন্ত্র হলো = Ampere meter বা Ammeter .
এমিটার সিরিজ কানেকশনে কানেক্ট করতে হয় ।
কারেন্ট প্রধানত তিন প্রকার :
১) এসি কারেন্ট
২) ডিসি কারেন্ট
৩) এডি কারেন্ট
এসি কারেন্ট বলতে কি বুঝায় ?
“এসি (AC)”- পূর্ন অর্থ হলো অল্টারনেটিং কারেন্ট (Alternating Current) । অর্থাৎ সময়ের সাথে যে কারেন্টের মান পরিবর্তীত হয় তাকে এসি কারেন্ট বলা হয় । বাসা বাড়ীতে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে যে বিদ্যুৎসরবরাহ করা হয় তা হচ্ছে এসি কারেন্ট ।
পরের চিত্রটিতে x অক্ষ বরাবর Time(সময়) এবং Y অক্ষ বরাবর Current(কারেন্ট) এর দিক নির্দেশ করা হয়েছে । চিত্রটি ভালো করে পর্যবেক্ষন করে দেখ বিভিন্ন সময়ে কারেন্টের মান বিভিন্ন হচ্ছে । অর্থাৎ সময়ের সাথে এর মান পরিবর্তীত হচ্ছে । তাই আমরা একে অল্টারনেটিং কারেন্ট বলে থাকি ।
ডিসি কারেন্ট বলতে কি বুঝায় ?
“ডিসি (DC)”- পূর্ন অর্থ হলো ডিরেক্ট কারেন্ট । অর্থাং সময়ের সাথে যে কারেন্টের মানের কোন পরিবর্তন হয় না , তাকে ডিসি কারেন্ট বলে । টর্চ লাইটে পাচ ভোল্টের ব্যাটারী যে বিদ্যুৎ দিয়ে থাকে তা হল ডিসি কারেন্ট।
উপরের চিত্রটিতে x অক্ষ বরাবর Time(সময়) এবং Y অক্ষ বরাবর Current(কারেন্ট) এর দিক নির্দেশ করা হয়েছে । চিত্রটি ভালো করে পর্যবেক্ষন করে দেখ বিভিন্ন সময়ে কারেন্টের মান 1A অপরিবর্তীত আছে ।
অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে এর মান অপরিবর্তীত থাকে । তাই একে আমরা ডিসি কারেন্ট (Direct current) বলি ।
এডি কারেন্ট বলতে কি বুঝায় ?
তামার তার দিয়ে তৈরী কয়েল থেকেই মুলত এডি কারেন্ট(Eddy Current) উৎপন্ন হয়ে থাকে । যেমন : ট্রান্সফরর্মার , মটর ইত্যাদি ।
এসি কারেন্ট যখন কোন কয়েলের ভিতর দিয়ে চলাচল করে, তখন এটি কয়েলের ভিতর এবং কয়েলের চারপাশে ম্যাগনেটিক ফিল্ড (magnetic fields) তৈরি করে । এই ম্যাগনেটিক ফিল্ড মূলত তারের চারিদিকে ফিতার মত জড়িয়ে থাকে । পরবর্তীতে এই ফিতার মত অসংখ্যক ম্যাগনেটিক ফিল্ড গুলো একত্র হয়ে একটি বড় লুপের সৃষ্টি করে ।
যদি কোন কারণ বসত এই লুপের কোন একটির কারেন্ট বেড়ে যায়, তাহলে এই কারেন্ট -এর আশেপাশের সমস্ত লুপের ম্যাগনেটিক ফিল্ড কে বাড়িয়ে দেয় । যার ফলে ভোল্টেজ তৈরী হয় । ভোল্টেজ উৎপন্ন হলে তো অবশ্যই ইলেকট্রনের ফ্লো হবে । আর ইলেকট্রনের ফ্লো হলেই কারেন্ট উৎপন্ন হবে । এই কারেন্টকেই বলা হয়ে থাকে এডি কারেন্ট ।
এডি কারেন্ট হলো এক প্রকার লস (Loss) । লস বলছি কারণ, এই কারেন্ট আমাদের কোন কাজে আসে না ।
No comments:
Post a Comment